অচেনা শহর
-ইউসুফ আলি
কংক্রিটের এই শহরের অলিগলিতে
বিদ্ধস্ত দেয়াল গুলোর অক্ষত কিছু জায়গায় লেখা রয়েছে অস্পষ্ট হয়ে যাওয়া কিছু নাম,
যেগুলো হৃদয়ের গভীরের গোঙানির শব্দ শুনতে পায় না!!
চোখের জলে ভিজে ভিজে চুপসে যায় অন্তরের বহিরাবণ।
মধ্যরাতে নিঃশব্দে অশ্রু বিন্দু গড়িয়ে পড়ে ভিজে যায় মাথার নিচের শিমুল তুলার কোমল বালিশখানা।
সবকিছুর ভিড়ে চারিদিকে তাকিয়ে ভিন্ন কাউকে দেখিনা,
প্রত্যেকের দিকে তাকিয়ে এক একটি প্রবল আমিত্ব দেখি।
যেখানে, সহস্র মুখস্ত মানুষে গিজগিজ করছে এই শহরের সবগুলো গলির কোনাকানি।
তখন শুধু ব্যার্থতা গুলোই কবিতার ভাষা দেয়, গল্প হয়ে দাঁড়িয়ে যায় বইয়ের পাতায়।
হতাশাগুলো এক একটি অনবদ্য শব্দ হয়ে ঝরে পরে সস্তা খাতায়।
বিষাদ এনে দেয় ছন্দের বৈচিত্র্যের সাথে বিষাক্ত পৃথিবীর।
দুঃখেরা বিরামহীনভাবে চিত্রকল্প জোগান দেয়,
ক্ষনিকেই চিত্রায়িত হয় এক মহাকাব্য। অশ্রুর প্রতিটি ফোঁটা থেকে জন্মায় উপমা আর কাব্যের অলঙ্কারসামগ্রী। কবিতার ছন্দে ছন্দে অন্তরের অন্তরতম পঙক্তিতে আমি খুবই নিঃসঙ্গ;
সবাই-ই বহিরঙ্গের খোঁজ পায় ,
অন্তরঙ্গের আমিটা এখনও অনাবিষ্কৃত..........।
২১ এপ্রিল, ২০২৪।
রাত্রি ৩.২৭


0 comments:
Post a Comment